26/07/2025

9 টাকা খরচ 68 টাকা বিল ,ভূতনি দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে অভিযোগ সিটুনেতার।

বাংলার মুখ নিউজ মালদা:মানিকচকে বালির বস্তায় সাড়ে 9 টাকা খরচ 64 টাকা বিল দুর্নীতির শিখরে দপ্তর, এমনটাই দাবি করলেন সিটু নেতৃত্ব। ভুতনির কাটা বাঁধ পরিদর্শনে বামফ্রন্টের প্রতিনিধি, ক্ষোভ উপড়ে দিলেন ভূতনি এবার জলে ভাসলে সেচ দপ্তরের প্রতিনিধিদের এনে জলে ডোবাবো, হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি সিটু জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ এর বন্যায় অতিরিক্ত জলের চাপ কমাতে দক্ষিণ চন্ডিপুর এলাকায় স্থানীয়রা বাঁধের কিছু অংশ কেটে ফেলে। সেই কাটা অংশ দিয়ে প্লাবিত এলাকার জল ফুলোহর নদীতে গিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে কাটা বাঁধের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করা হয় স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে। কিন্তু কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যেই ফুলোহর নদীর জল বাড়াতে কাটা বাধের অংশ দিয়ে জল ঢুকছে এলাকায় এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান এখানে স্থায়ীভাবে সুইচ গেটের প্রয়োজন। তাছাড়া কোনভাবেই ভুতনিকে রক্ষা করা যাবে না। ভুতনির মানুষ আবার বন্যার সম্মুখীন হবে।

আজ কাটাবাধ পরিদর্শনে যান দেবজ্যোতি সিনহা, শ্যামল বসাক সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান কিছু মানুষ ভুতনিকে ডুবাতেই আগ্রহী। গতবারের কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে এই বন্যাকে সামনে রেখে,জেনারেটর খিচুড়ি নৌকার বিল লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে ,যা দুর্নীতি প্রকাশ্যে। আমরা চেয়েছিলাম কাটাবাঁধ অংশে সুইচগেট হোক। কিন্তু তার পরিবর্তে কুড়িখানা পাইপ দিয়ে সাধারণ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে যা বন্যার জল কোনভাবেই থামতে পারবে না। আগামীতে বৃহত্তম আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

বাংলার মুখ নিউজ মালদা – কংক্রীট ঢাকনা সহ ড্রেন তৈরির কথা থাকলেও, শুধুমাত্র ড্রেন তৈরি করেই বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। আর বিল পেতে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে এল মালদার মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উল্লেখ্য সম্প্রতি এই এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই টয়লেট তৈরি না করেই ভুয়ো বিলের মাধ্যমে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্নীতি সামনে এসেছে এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। জানা গেছে, এই পঞ্চায়েতের এক এলাকায় কংক্রীট ঢাকনা সহ ড্রেন তৈরির কথা ছিল। এবং শুধুমাত্র ঢাকনা তৈরির জন্যই এক লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা কংক্রীট ঢাকনা তৈরি না করেই শুধুমাত্র ড্রেন তৈরি করে কাজের পুরো বিল তুলে নেয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ এই ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে। এই মর্মে শুক্রবার এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামবাসীদের একাংশের পক্ষ থেকে মানিকচক বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এই বিষয়ে এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতী মন্ডল মজুমদারকে ধরা হলে তিনি দাবী করেন, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। কোন দুর্নীতি হয়নি।

১পরিযায়ীক শ্রমিক ট্রেন লাইনে Big Breaking Newsঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে

বাংলার মুখ নিউজ– মালদার গাজেলের হজরতপুর ট্রেনের সামনে ধাপ দিয়ে আত্মঘাতী এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম জীবন মাহাতো বাড়ি গাজোল এর মাঝড়া গ্রামে। শান্তি মোড় এর কাছে তার শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীকে নিয়ে দু বছর ধরে থাকতো।জানা যায় নবদ্বীপ বালুরঘাট গামী ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে একলক্ষী স্টেশন ছাড়ার পর বালুরঘাটের দিকে যেতেই হযরত পুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।এরপর ছুটে আসে এলাকার লোকজন পাশাপাশি ছুটে আসে আরপিএফ সহ রেল দপ্তরের কর্মকর্তারা ও রেল পুলিশ কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।এরপর এই পরিবারের খবর পেয়ে ছুটে আসে তার স্ত্রী ও আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা। আরপিএফ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রুপ সনাতন মিলন মন্দিরের উদ্যোগে শতাধিক ভক্তকে নিঃশুল্ক পুরী ভ্রমণ।

মালদা : রুপ সনাতন মিলন মন্দিরের উদ্যোগে শতাধিক ভক্তকে নিঃশুল্ক পুরী ভ্রমণ।
শুক্রবার দুপুরে ১২০ জন ভক্ত ট্রেনে চেপে রওনা দিলেন জগন্নাথ পুরীর উদ্দেশ্যে।
মালদা রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে ভক্তরা রওনা দেন পুরীর উদ্দেশ্যে।
ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক কারণে বহু ভক্ত পুরী ধামের ভ্রমণ করতে পারেননি। সেই সমস্ত ভক্তদের পুরী ভ্রমণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন রুপ সনাতন মিলন মন্দিরের কয়েকজন সদস্য। এদিন দুপুরে নাম সংকীর্তন করে ভক্তরা উপস্থিত হন মালদা টাউন রেল স্টেশনে। উপস্থিত ছিলেন,রূপ সনাতন মিলন মন্দিরের প্রধান সেবায়েত রঘুনাথ ঘোষ সহ অন্যান্য ভক্তরা।
রঘুনাথ ঘোষ বলেন, মন্দিরের কয়েকজন ভক্তের আর্থিক সহায়তায় ১২০ জন ভক্তকে নিঃশুল্ক পুরী ধাম ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয় রূপ সনাতন মিলন মন্দিরের পক্ষ থেকে। ৬ দিনের ভ্রমণে ট্রেন যাত্রা এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ভক্তদের জন্য।